এবার ঘরের মাঠে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে আবারও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে দেশে ফেরার কথা ছিল সাকিবের।
এদিকে ‘হোম অব ক্রিকেটে’ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডেও রাখা হয়েছে সাকিবের নাম। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে আবারও সাকিবের বিদায়ী টেস্ট নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছেন সাকিব। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশের বিমান ধরার কথা এই অলরাউন্ডারের। তবে দেশে ফেরার আগের দিনই তাকে বিমানে উঠতে নিষেধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে সাকিবের দেশের মাটিতে অবসর নিয়ে আবারও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, নিরাপত্তাসহ নানা কারণে তার দেশে ফেরার বিষয়টি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানা গেছে। এর আগে ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ চলাকালীন টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকেই ওই ফরম্যাটে তার শেষ বলে অভিহিত করে সাকিব জানান, নিরাপত্তা পেলে দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলতে চান তিনি। সাকিবের এই ঘোষণার পরপরই তার দেশে ফেরার বিষয়টি আলোচনায় আসে। এই ইস্যুতে দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
একপর্যায়ে বিসিবি তার নিরাপত্তায় অপারগতা প্রকাশ করে। তবে অনেক নাটকীয়তার পর ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সাকিবকে নিরাপত্তা দিতে রাজি হয়। সাকিবের দেশে ফিরতে বাধা নেই–যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এমন আশ্বাসের পর গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের জন্য ১৫ সদস্যের দলে সাকিবকে রাখা হয়।